সার্ক জ্বালানি চুক্তিও ঝুলে গেল

নির্ধারিত সময়ের পর ম্যারাথন বৈঠক চালিয়েও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে একমত হতে পারেননি সার্ক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

নুরুল ইসলাম হাসিব কাঠমান্ডু থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 03:33 AM
Updated : 26 Nov 2014, 03:34 AM

কাঠমান্ডুর হোটেল সলটিতে ওই বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত এ চুক্তির ভাগ্যে কি আছে, তা বলতে পারেননি তিনি।

“পর্দার আড়ালে অনেক কিছুই হয়। সম্মেলনে শেষ পর্যন্ত কি হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।”

সদস্য দেশগুলো একমত হতে না পারায় সার্ক আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা চুক্তি এবং সার্ক পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল চুক্তিও যে ঝুলে গেছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তা মঙ্গলবার বিকালেই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।  

এরপর বিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তির ‘সামান্য সম্ভাবনা’কে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য নৈশভোজের পরও বৈঠক চালিয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। কিন্তু শীর্ষ সম্মেলনের আগের রাতে সেই বৈঠক নিষ্ফলাই থাকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে সময় নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম না বললেও বৈঠক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত পাকিস্তানের বিরোধিতার কারণেই চুক্তিগুলোর বিষয়ে কোনো ঐকমত্য আসেনি।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় কাঠমান্ডুর এক্সিবিশন রোডের ‘রাষ্ট্রীয় সভাগৃহে’ বসছে অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সার্ক নেতারা মঙ্গলবারই কাঠমান্ডু পৌঁছেছেন।

শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে কাঠমান্ডুতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি যান চলাচলের ওপরও আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি।  সম্মেলনের দুই দিন- বুধ ও বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে নেপালে।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছে নেপাল। এর আগে ১৯৮৭ ও ২০০২ সালেও দক্ষিণ এশিয়ার এই আঞ্চলিক জোটের নেতারা নেপালে সম্মেলনে বসেন।