এর আগে গত ১৭ নভেম্বর প্রসিকিউশনের ২৪তম ও শেষ সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হেলাল উদ্দিনকে জেরা সম্পন্ন করেন আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান।আসামিপক্ষের কোনো সাক্ষী না থাকায় এরপরই যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচ অভিযোগে পিরোজপুরের মঠবাড়িায়র সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা জব্বারের বিরুদ্ধে গত ১৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনশেষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে গত ১ মে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ছাড়াও ৩৬ জনকে হত্যা, ২০০ জনকে ধর্মান্তরিতকরণ, ৫৫৭টি বাড়িঘরে লুটপাট চালানো ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গত ১২ মে জব্বারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় এরপর নিয়ম অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। তাতেও তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু করেন।
পলাতক জব্বারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবুল হাসানকে নিয়োগ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। গত ৮ জুলাই তাকে নিয়োগ করে আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
গত ২০ জুলাই আদালতে জব্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা। অপরদিকে বিরোধিতা করে শুনানি করেন তার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, আব্দুল জব্বারের শ্বশুর ছিলেন স্থানীয় মুসলীম লীগ নেতা। জব্বার নিজে ছিলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। জাতীয় পার্টির টিকিটে মঠবাড়িয়া থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আনুমানিক ৮০ বছর বয়সী এই প্রকৌশলী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা প্রবাসী।
তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১৯ মে তদন্ত শুরু করে ২৮ এপ্রিল ২০১৪ সালে তদন্ত শেষ করা হয়।পাঁচটি অভিযোগে ৭৯ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে মোট ১ হাজার ৯শ’ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন চুড়ান্ত করা হয়।