লতিফকে জুতা প্রদর্শনের নেতৃত্বে ‘রাজাকারপুত্র’

আদালতে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে জুতা প্রদর্শনের ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, যার বাবা একাত্তরে রাজাকার ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2014, 05:01 PM
Updated : 25 Nov 2014, 05:38 PM

ধর্মীয় উসকানির মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালত থেকে মঙ্গলবার লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় জুতা দেখায় একদল আইনজীবী, যাদের নেতৃত্ব দেন আবেদ রাজা।

বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ফোরামের নেতা আবেদ রাজা গত ২ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেছিলেন। 

তার অভিযোগ ছিল, হজ নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে।

আবেদ রাজা

আবেদ রাজার বাবা অ্যাডভোকেট এ এন এম ইউসুফ (আ ন ম ইউসুফ) মুসলিম লীগের একাংশের সভাপতি ছিলেন ২০০৯ সালে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত।

মুসলিম লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল।

জুতা প্রদর্শনের পর সিলেটের কুলাউড়ার সন্তান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী এ বিষয়ে ফেইসবুকে কয়েকটি পোস্ট দেন।

যার একটিতে তিনি লিখেন, “মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কোর্টে দাঁড়িয়ে এরপর কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে তার ঘৃণার কথা জানাল একাত্তরের অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী এ এন এম ইউসুফের ছেলে আবেদ রাজা!

“লতিফ সিদ্দিকীর নিউ ইয়র্কের বক্তব্যের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলাও করেছিল এই আবেদ রাজা! মুক্তিযুদ্ধের পর এই এ এন এম ইউসুফকে লতিফ সিদ্দিকীরা জেলে পুরেছিলেন। এতদিন পরে এসে সেই বদলা নিল রাজাকারপুত্র!!”

একটি খবর ফেইসবুকে শেয়ার করে ফজলুল বারী লিখেন, “গোলাম আযমের কফিনে ঘৃণার জুতা ছুড়েছিল প্রিয় প্রজন্ম বাঁধন। এর শোধ নিল রাজাকার পুত্র আবেদ রাজার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা!”

আবেদ রাজার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার নাসিরাবাদ গ্রামে। ছাত্রজীবনে তিনি চীনাপন্থী বাম ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে  একই ধারার বামপন্থী দল ‘ঐক্য প্রক্রিয়ায়’ যোগ দেন।

১৯৯০ সালে তিনি এ রাজনীতি থেকে সরে যান। ১৯৯৩ সাল থেকে সিলেট বিভাগ আন্দোলন দাঁড় করান তিনি। ২০০৮ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।

আবেদ রাজা জানান, তিনি ২০০৮ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আংশিক আসনে জাতীয় নির্বাচনে সাংসদ  হিসাবে চারদলীয় জোটের মনোনীত হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেন।

তিনি টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি এখন আইন দেখছেন কীভাবে এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এড়িয়ে লতিফ সিদ্দিকী ভেতরে ঢুকলেন।

মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন তিনি এ বিষয়ে  আদালতে শুনানি করবেন বলে ইঙ্গিত করেন।