ঢাকায় আর কোনো যুদ্ধাপরাধীর জানাজা নয়: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

রাজধানী ঢাকার মাটিতে আর কোনো যুদ্ধাপরাধীর জানাজা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2014, 03:19 PM
Updated : 25 Nov 2014, 03:43 PM

মঙ্গলবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২১ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন। তাদের শতকরা এক ভাগও জানাজা পায়নি; শকুনে, কুকুরে ও শিয়ালে তাদের লাশ খেয়েছে। নদীতে, খাল-বিলে বা বাগানে এই লাশ পচেছে। তাই ঢাকায় কোনো যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর জানাজা করতে দেওয়া হবে না।

“আজকে মানবতার কথা আসে, ধর্মের কথা আসে। ১৯৭১ সালে আমাদের সহযোদ্ধা মুসলমানরা কেন জানাজা পায়নি? তার আগে কৈফিয়ত দেওয়া হোক, বিচার করা হোক। তারপর আমরা তাদের বিষয়টি বিবেচনা করব, এর আগে নয়।”

মোজাম্মেল জানান, আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে।

“প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে এখন থেকে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।”

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পর তাদের সরকারিভাবে কবরের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিকেলে ফরিদগঞ্জ ওয়াপদা মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিজয়মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চাঁদপুর-৪ আসনের এমপি মো. শামসুল হক ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার।

১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্ত হয়। এই দিবসটিকে উপলক্ষ্ করে প্রতিবছর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হয়।