কাঠমান্ডুতে সমবেত হচ্ছেন সার্ক নেতারা

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) অষ্টাদশ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নেপালের রাজধানীতে কাঠমান্ডুতে পৌঁছাতে শুরু করেছেন জোটভুক্ত দেশের নেতারা।

নুরুল ইসলাম হাসিব কাঠমান্ডু থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2014, 01:04 PM
Updated : 25 Nov 2014, 01:04 PM

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম মঙ্গলবার বিকালের মধ্যেই কাঠমান্ডু পৌঁছেছেন। মঙ্গলবারেই আসার কথা রয়েছে ভারত, ভুটান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর।

শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে কাঠমান্ডুতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি যান চলাচলের ওপরও আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা নিজে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।

সম্মেলনের দুই দিন- বুধ ও বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে নেপালে। সম্মেলনস্থল কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রীয় সভা গৃহে (সিটি হল) সাংবাদিকদের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের মাত্র দুজন সাংবাদিক সেখানে ঢুকতে পারবেন।

শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্য সূচি নির্ধারণে মঙ্গলবার বৈঠক করছেন সার্ক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ১৯৮৫ সালে সার্ক যাত্রা শুরু করলেও এখনো কোনো সম্মিলিত অর্জন না থাকায় এই জোট নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।  

তবে এই অঞ্চলে প্রভাবশালী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের শপথ অনুষ্ঠানে সার্ক নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেওয়ায় এবার সার্ক সম্মেলন নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

প্রথমবারের মতো সার্ক সম্মেলনে যোগ দিতে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে নয়া দিল্লি ছাড়ার আগে এক বিবৃতিতে মোদী বলেছেন, “প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা আমার সরকারের সর্বাধিক অগ্রাধিকারের একটি।”

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানসহ নয়টি পর্যবেক্ষক দেশও সম্মেলনে তাদের প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন, যা প্রতিবেশীদের কাছে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছে নেপালিদের সামনে।

দুই প্রভাবশালী দেশ ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী নেপাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হয়েও বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর একটি। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে নেপাল। এর আগে ১৯৮৭ ও ২০০২ সালে সেখানে মিলিত হন সার্ক নেতারা।

এবারের সম্মেলনে রেল ও সড়ক যোগাযোগ এবং জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে তিনটি চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে গণমাধ্যমে বিশেষত বাংলাদেশে জোর আলোচনা হয়।

তবে সোমবার শেষ হওয়া পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে কয়েকটি দেশের বিরোধিতার কারণে এ বিষয়ে মতৈক্য হয়নি।