ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের মন্ত্রিত্ব নিয়ে আদালতের প্রশ্ন

একটি কোম্পানির লাভজনক একটি পদে থাকার পরও কিভাবে মন্ত্রী হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2014, 06:23 AM
Updated : 25 Nov 2014, 02:05 PM

একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল দিয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফের শপথ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্নান গত রোববার রিট আবেদনটি করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকার সংসদ সদস্য মোশাররফ এই বছরের শুরুতে সরকার গঠনের সময় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। 

মোশাররফ ‘কোন কর্তৃত্ববলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদে রয়েছেন’- তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি ‘কেন তাকে মন্ত্রী পদ ছাড়তে বলা হবে না’- রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

মন্ত্রী মোশাররফের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের রেজিস্ট্রারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে।

জেড আই খান পান্নার অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোটেল কোম্পানি পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেডের চেয়ারম্যান হওয়ার পরও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন, যা সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ফাইল ছবি

জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের রেজিস্ট্রারকে পেনিনসুলার নিরীক্ষা (অডিট) প্রতিবেদন ও নথিপত্রও আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, “রুলের জবাব দেওয়ার সময়ের মধ্যেই এসব নথি জমা দিতে বলেছে আদালত।”

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু এই আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন।

মোতাহার সাংবাদিকদের বলেন, মোশাররফ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে গত ৬ জানুয়ারি ওই কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।

“২০ সেপ্টেম্বর তিনি আবার পদত্যাগ করেন, যা ৩০ সেপ্টেম্বর গৃহীত হয়।”

মন্ত্রী হওয়ার পর মোশাররফ কোম্পানির কোনো সভায় অংশ নেননি বলে দাবি করেন আইনজীবী মোতাহার।

“তিনি কোনো আর্থিক সুবিধাও গ্রহণ করেননি,” বলেন এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।