এদিন ঐশীর জামিন আবেদনও নাকচ করে দেন বিচারক।
ঐশীর জামিনের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা।
গত ২১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার উপ-সচিব মিজানুর রহমান মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালত বদলের প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এর প্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বদলির নির্দেশ দেন।
দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আইনে ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার শেষ করার বিধান রয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি ও মিজানুর রহমান রনি রহমান এবং ঐশীদের গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি। সুমি ছাড়া অন্য আসামিরা কারাগারে রয়েছে।
ঐশীর আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা জানান, এর আগে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগপত্র দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ভৎর্সনা করেছিলেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক।
পরে জবানবন্দী নেওয়া মহানগর হাকিম আনোয়ার সাদাতসহ সাতজন নতুন সাক্ষী অন্তর্ভুক্ত করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর।
সম্পূরক অভিযোগপত্রে মূল অভিযোগপত্রের আটজন সাক্ষীকে বাদ দেওয়া হয়।
গত ৯ মার্চ আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ঐশীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে প্রথমে পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
এরপর গত ৬ মে ঐশীসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন মহানগর দায়রা জজ।
মামলার অন্য গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিচার চলছে শিশু আদালতে।
গত ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাকে জামিন দেন মহানগর দায়রা জজের শিশু আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন। গত ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পায় সে। এ মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
গত বছরের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (পলিটিক্যাল) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। গত বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ঐশী জবানবন্দি দেয়।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে।