সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নূরে আলম ভুঁইয়া এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম আদালতের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রশিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পতেঙ্গা থানা পুলিশ মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের মামলার আসামি ১৭ জনের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমাণ্ডের আবেদন করেছিল।
“শুনানি শেষে আদালত ১৭ আসামির সবার এক দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন।”
এদের মধ্যে ১৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক ও অন্য তিন জন বাংলাদেশের নাগরিক।
১৭ নভেম্বর সকালে সেন্টমার্টিন থেকে ১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে ও বাংলাদেশ সমুদ্রের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের দক্ষিণ অংশের স্থলভাগ থেকে প্রায় ২৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা মিয়ানমারের পতাকাবাহী একটি ট্রলার আটক করে নৌবাহিনী।
আটক করা ট্রলারটি থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মোট ৬২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘দুর্জয়’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মাহবুবুর রহমান বাদি হয়ে দুটি মামলা করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বৈদেশিক নাগরিক সম্পর্কিত আইন ১৯৪৬ এর (১৪) ধারা অনুসারে মিয়ানমারের ৮২ জন নারী ও পুরুষকে আসামি করা হয়।
এছাড়া মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০০২ এর ৬,৭ ও ৮ ধারায় বাংলাদেশি তিন নাগরিকসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ মিয়ানমারের নাগরিক অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলাটিরও আসামি। এ হিসেবে দুই মামলায় মোট আসামি ৮৫ জন।
১৯ নভেম্বর দুই মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২০ নভেম্বর উদ্ধার হওয়া পাঁচজন এ ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।