সোমবার নারায়ণগঞ্জে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পাঁচ হাজারের উপর অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে, যাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। গ্রাম থেকেও অনেক অনলাইন পোর্টাল বের হচ্ছে। এদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
“সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তির প্রয়োজন আছে। এতে সাংবাদিকের পরিচয় শনাক্ত করতে সুবিধা হবে,” বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের জাতির আখ্যায়িত করে কমমতাজ উদ্দিন বলেন, জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা নানাভাবে বঞ্চনার শিকার। তাদের উন্নয়নে প্রেস কাউন্সিল কাজ করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
এক জেলা থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে অন্য জেলা থেকে পত্রিকা বের করা হচ্ছে। এতে অপসাংবাদিকতার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি আহবান জানান তিনি।
প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বলেন, “সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড প্রেস কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত। এছাড়াও চাকরি সংক্রান্ত মামলা শ্রম আইনের পরিবর্তে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ী নির্ধারণ করা প্রয়োজন।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভা সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হালিম আজাদ, সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আশরাফ, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সাংবাদিক আব্দুস সালাম, মজিবুল হক পলাশ প্রমুখ।
সাংবাদিকরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা, চাকরির নিশ্চয়তা, নিয়োগপত্রসহ বিভিন্ন বিষয় প্রেস কাউন্সিলের আইনে তুলে ধরার জন্য প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের প্রতি আহবান জানান।
তারা প্রেস কাউন্সিল পরিচালনা পরিষদে আঞ্চলিক প্রতিনিধি নিয়োগেরও দাবি জানান।