সোমবার এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ৩ ঘণ্টা দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, তাদের বিরুদ্ধে উপাচার্য অধ্যাপক রুহুল আমিনের ষড়যন্ত্রের পর এখন তারই নির্দেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
“কতিপয় কর্মকর্তা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সভা করছিল। আমরা এর প্রতিবাদ করলে তারা ছাত্রদের মারপিট করে।”
তিনি বলেন, এরই প্রতিবাদে উপাচার্যের পদত্যাগ ও দুই ছাত্রের বহিষ্করাদেশ প্রত্যাহারসহ এ ঘটনায় দায়ী কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্ররা বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সোমবার বেলা ১১টায় অডিটরিয়ামে সভায় বসেন।
সভা চলাকালে ছাত্রলীগ সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায়ের নেতৃত্বে একদল ছাত্র আকষ্মিক সভাস্থলে এসে তাদের সভা করতে বাধা দেয় এবং কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
সম্প্রতি ছাত্রীগের দুই নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের পর কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। দুপক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।
ছাত্রলীগ উপাচার্য অধ্যাপক রুহুল আমিনের পদত্যাগ দাবি করছে।