সোমবার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোবারকের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, “যে তথ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে আমরা মনে করি সেটি বিশ্লেষণে ট্রাইব্যুনাল ব্যার্থ হয়েছে। তিনি মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার মতো কোনো অপরাধ করেননি।”
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর এই রায়ে বলা হয়, মোবারকের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে একটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
তাজুল বলেন, “এ রায়ে সঠিক বিচার হয়নি, ন্যায়বিচার হয়নি। রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হবে।”
আদালতে প্রসিকিউশনের সাক্ষীরা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
“তাদের বক্তব্যের বৈপরিত্যই বলছে তারা মিথ্যা বলেছেন। আদালত এ মিথ্যা সাক্ষীদের বক্তব্য সত্য ধরে নিয়ে রায় দিয়েছেন।”
একাত্তরে আখাউড়ার রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার মোবারক জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করলেও পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০১১ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।