সোমবার বেলা ১২টার দিকে রায় শুনে উল্লাসে ফেটে পড়েন শাহবাগের অবস্থানরত গণজাগরণকরমীরা। এ সময় তারা দ্রুত রায় কার্যকরের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান অংশ একটি আনন্দমিছিল বের করে। মিছিলটি শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি মোড় ঘুরে জাতীয় জাদুঘরে সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসনের বিরুদ্ধে হত্যা অপহরণ ও লুটতরাজের মতো পাঁচ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল, যার মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়েছে। এই দুই অভিযোগের একটিতে তাকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়।
ফাঁসির রায়ের পর ইমরান এইচ সরকার বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দির দখল করে তিনি রাজাকারদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। আর এই মন্দিরগুলোকে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের নির্যাতন সেল হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী মোবারক হোসেনের ফাঁসির রায় প্রত্যাশিত ছিল, সেটিই হয়েছে।”
যুদ্ধাপরাধী দোলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের রিভিউ পিটিশন ও কামারুজ্জামানে রায় কার্যকর নিয়ে কালক্ষেপণের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, একাধারে যুদ্ধাপরাধীদের রায় দেওয়া হচ্ছে কিন্তু রায়গুলোর কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
মোবারকের ফাঁসির রায়ে মিষ্টি বিতরণ করে কামাল পাশা নেতৃত্বাধীন মঞ্চের অপর অংশ।