রোববার বিল তিনটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।
গত ১ জুলাই বিলগুলো সংসদে উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে সেগুলো পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিশে চাকমা নৃ-গোষ্ঠীর তিনজন, মারমা, খেয়াং, লুসাই, তঞ্চঙ্গা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর একজন করে এবং অ-উপজাতীয়দের মধ্যে থেকে তিনজন সদস্য অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের সংশোধনের প্রস্তাবে চাকমাদের তিনজন, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর দুইজন করে এবং তিনজন অ-উপজাতীয় সদস্য অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে থাকবেন মারমাদের দুইজন, তঞ্চঙ্গা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরা, চাক, খিয়াং, খুমী, বোম, লুসাই ও পাংখু থেকে একজন করে এবং অ-উপজাতীয় তিনজন।
বিলগুলো সংসদে উত্থাপনের পর থেকেই বিরোধিতা করছে পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো। তারা বলছে, আঞ্চলিক পরিষদের সঙ্গে আলোচনা না করে এসব বিল প্রণয়ন করে পার্বত্য চুক্তি লঙ্ঘন করেছে সরকার।
গত ১৯ নভেম্বর রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার ও জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা এক বিবৃতিতে বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জাতি-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত ও দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক পরিষদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচিত পার্বত্য জেলা পরিষদের বিকল্প নেই। অনির্বাচিত দলীয় লোক দিয়ে পরিচালিত পার্বত্য জেলা পরিষদ কখনো শক্তিশালী ও গতিশীল হতে পারে না।”
সরকারি যানবাহন (ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০১৪ সংসদে উত্থাপন
সামরিক শাসনের আমলে অধ্যাদেশ থেকে আইনে পরিণত করতে ‘সরকারি যানবাহন (ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ) বিল, ২০১৪’ সংসদে তোলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে এটি পরীক্ষা করে ৯০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
দুটি সামরিক শাসনামলে জারি করা প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ সালের ‘অফিসিয়াল ভেহিক্যাল রেগুলেশন অর্ডিনেন্স-১৯৮৬’ রহিত করে বাংলায় আইন প্রণয়ন করতে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।