নাইকোর ঘুষ: মাহমুদুরকে কানাডার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ

নাইকোর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কানাডার তদন্ত সংস্থা।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2014, 03:07 PM
Updated : 23 Nov 2014, 03:07 PM
সাইবার অপরাধসহ কয়েকটি মামলায় প্রায় দেড় বছর কারাবন্দী দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুরকে রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মহানগর হাকিম রেজাউল ইসলামের উপস্থিতিতে বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ঢাকা সফররত কানাডীয় তদন্ত সংস্থার ছয় সদস্য।

কোর্ট হাজতের ওসি মুরাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কাশিমপুর কারাগার থেকে আনার পর মাহমুদুর রহমানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের তিন তলায় কনফারেন্স কক্ষে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কানাডার কর্মকর্তারা।

২০০৫ সালের জানুয়ারিতে টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের পর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন নাইকোর কাছ থেকে ঘুষ নেন বলে অভিযোগ ওঠে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ওই বছরের ১৮ জুন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়েছিলেন মোশাররফ।

মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী বেলাল হোসেন জসিম বলেন, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এই মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ, নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ ও সাবেক জ্বালানি সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম রয়েছেন।

মাহমুদুরকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী বেলাল জানান, তার মক্কেল সে সময় জ্বালানি উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকায় ওই ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে কিছু তথ্য জানতেই ঢাকায় এসেছে কানাডার তদন্ত সংস্থার সদস্যরা।

তবে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি আগে থেকে জানতেন না বলে দাবি করেছেন মাহমুদুরের আরেক আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

তিনি বলেন, “মামলাটি তো হাই কোর্টে স্থগিত রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আদালতের এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় আসার পর কানাডার তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে মাহমুদুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদক্ষেপ নিতে চিঠি লেখে।

এর প্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) বিকাশ কুমার সাহার কাছে আবেদন করলে বিচারক প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ দেন ।