ভিওআইপিতে রাঘব বোয়ালরা: জাপা এমপি

অবৈধ ভিওআইপিতে ক্ষমতাসীনরাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2014, 03:01 PM
Updated : 23 Nov 2014, 03:01 PM

রোববার কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধি অনুযায়ী মনোযোগ আকর্ষণের নোটিসে এই অভিযোগ তুলে এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান তিনি।

তার নোটিসের জবাবে সংসদ কাজে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে ভিওআইপি এখন ‘বিলুপ্তির’ পথে।

নোটিসে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ভিওআইপি লাইসেন্সের অপব্যবহার করে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রাজধানীর বিভিন্ন বাড়ি, এপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জাম স্থাপন করে বৈদেশিক কল চুরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে যাচ্ছে।

“এসব অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাঘব বোয়ালরা জড়িত। তাছাড়া বিটিআরসি ও বিটিসিএলের কিছু দুর্নীতিপরায়ণ অসাধু কর্মচারীরাও জড়িত।”

অবৈধভাবে যারা কাজ করছে, তাদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত এবং এতে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান জাতীয় পার্টির নেতা।

নোটিসের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট ১ দশমিক ৫ নির্ধারণ ও নিয়মিত অভিযানের কারণে অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম ‘বিলুপ্তির’ পথে।

ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সরকার সক্রিয় জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযান পরিচালনার জন্যে ২৭ সদস্যের কমিটি রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৭৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবৈধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এই জবাব পাওয়ার পর ফিরোজ রশীদ বলেন, বাংলাদেশের ১১ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।

“ভিওআইপি লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন ১৩ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে। মাসে ৪০০ কোটি টাকা, বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা সরকার বঞ্চিত হচ্ছে।”

“১০ কোটি মিনিট কল চুরি হয়। বাংলাদেশে আসা কলের পরিমাণ ১৪ কোটি মিনিট, সরকারি হিসাবে ৪ কোটি মিনিট। আইজিডব্লিউর ২৯টি লাইসেন্স নিয়ে এ ১০ কোটি কল চুরি হয়।” একটি হিসাব দেন তিনি।

“জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না? টাকা আদায় ও লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে কি না,” মন্ত্রীর কাছে জানতে চান ফিরোজ রশীদ।

তখন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “সংসদ সদস্য যে বিষয়টি বলেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।প্রশ্নটা হচ্ছে সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন কি না? সরকার কিন্তু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সরকার কিছু কঠিন পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে।”