রোববার সকাল ১০টায় কিশোরগঞ্জবাসী সংগঠনের ব্যানারে জেলা শহরের একরামপুর মোড় থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে ও বাঁশ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে।
সড়ক অবরোধের কারণে করিমগঞ্জ উপজেলাসহ হাওর এলাকার প্রবেশপথ চামটা বন্দর, রেল স্টেশন ও নিকলী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাজহারুল ইসলাম সেতু নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তিন ঘণ্টা পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এলাকাবাসী।
মাজহারুল ইসলাম সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বলেন, “জমি নিয়ে জটিলতার কারণে সেতু নির্মাণে বিলম্ব ঘটছে, দ্রুত সে সমস্যা কেটে যাবে।”
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান আরজুর সভাপতিত্বে সেতু নির্মাণের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক।
এছাড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়াঁ, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান, ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
আরিফুর রহমান আরজু বলেন, সেতু নির্মাণের টেন্ডার হলেও সাবেক সাংসদ ও বিএনপি নেতা মাসুদ হিলালি ও তার ভাই মিন্টু হিলালির বাধার কারণে বাস্তবায়ন হয়নি।
সেতু নির্মাণের নির্ধারিত স্থানের ভূমি বর্তমানে তাদের জবর-দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মাসুদ হিলালি বলেন, “সেতু নির্মানের নির্ধারিত স্থানের এক ইঞ্চি ভূমিও আমাদের দখলে নাই।”