বিমানের সোনা চোরাচালান তদন্তে মন্ত্রণালয়ের কমিটি

সোনা চোরাচালানে জড়িত অভিযোগে আটক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার চার দিনের মাথায় ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2014, 11:25 AM
Updated : 23 Nov 2014, 01:21 PM

রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , “বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাম্প্রতিক ঘটনা এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয় তদন্তের জন্য এই কমিটি করা হয়েছে।”

বিমানবন্দর দিয়ে সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর, উত্তরা ও বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমদাদ হোসেনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- বিমানের প্ল্যানিং অ্যান্ড শিডিউলিং প্রধান ক্যাপ্টেন আবু মোহাম্মদ আসলাম শহীদ, শিডিউল ম্যানেজার তোজাম্মেল হোসেন, উত্তরার ফারহান মানি এক্সচেঞ্জের মালিক হারুন অর রশিদ এবং বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ।

পরদিন বিকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারদের চার দিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

একদিন পর গ্রেপ্তার বিমান কর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

সোনা চোরাচালানে আর কারা জড়িত রয়েছে, সে সম্পর্কে পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

পুলিশ বলেছে, সোনা চোরাচালানে বিমানের আরো কর্মকর্তা জড়িত বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন।

সোনা চোরাচালানের ঘটনায় বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও হাজি মো. সেলিম।