লক্ষ্মীপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স: নকশা বহির্ভূত দোকান বন্ধের নির্দেশ

লক্ষ্মীপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নকশা বহির্ভূত দোকান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2014, 09:45 AM
Updated : 23 Nov 2014, 09:45 AM

একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।

পাশাপাশি ওই ভবনের সব পরবর্তী অর্থনৈতিক বিষয় দেখাশোনা করার জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

জেলা প্রশাসককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে ৭ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনুমোদিত নকশার বাইরে ওই ভবনে নির্মাণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তদন্ত করে ওই অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও দিয়েছে আদালত।

ওই ভবনের তত্ত্বাবধান ও পুননির্মাণে (নকশা বহির্ভূত অংশ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তাও জানাতে বলা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ারুল হক, সদর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহবুবুল আলমকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।

সাকিব মাহবুব বলেন, সব জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে ২০১১ সালে একনেকে প্রস্তাব পাস হয়। নির্মাণ হওয়ার পর ২০১৩ সালের জুলাই মাসে লক্ষ্মীপুর জেলায় এই কমপ্লেক্স উদ্বোধনও করা হয়।

“নিয়ম অনুসারে ওই ভবনের নিচতলায় দোকান, দোতলায় কমিউনিটি সেন্টার এবং তিন তলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কার্যালয় থাকার কথা। এই ভবনের ব্যবস্থাপনা করার কথা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বের একটি কমিটির।

কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা ‘মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প কমিটি’ নামে একটি কমিটি করে ভবনের দখলে নেয়। তারা নতুন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে টাকা জমা রাখে। কমিউনিটি সেন্টারের স্থানেও নকশা ভেঙে দোকান বানায় বলে রিটকারীর আইনজীবী জানান।