র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ঢাকা ও রাজশাহীর বিভিন্ন স্থান থেকে এই ছয়জনকে আটক করা হয়।
এদের মধ্যে রাজশাহীর কাটাখালীর পৌর যুবদলের নেতা আরিফুল ইসলাম মানিকের পরিকল্পনা এবং তার নেতৃত্বে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিউলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে র্যাবের দাবি।
আটক বাকি পাঁচজন হলেন- পিন্টু, টোকাই বাবু, মামুন, কালু, সবুজ। র্যাব বলছে, এদের সহযোগিতা নিয়েই মানিক হত্যাকাণ্ড ঘটান।
র্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম।
গত ১৫ নভেম্বর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজের বাসার কাছেই খুন হন লালনভক্ত শফিউল।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বলেছে, শফিউল হত্যার তদন্তে ‘জামায়াত নিয়ন্ত্রিত’ জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে তারা।
ওই ১১ আসামির সবাই জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত বলেও আদালতকে জানানো হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘণ্টা পাঁচেক পর আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামে একটি ফেইসবুক পৃষ্ঠায় অধ্যাপক শফিউলকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে তাকে হত্যার দায় স্বীকার করা হয়।
ওই ফেইসবুক পৃষ্ঠা কারা চালাচ্ছে সে তথ্য উদঘাটন করতে না পারলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন গত শুক্রবার বলেন, আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ একটি নতুন সংগঠন বলে তাদের ধারণা। এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।