লালবাগ থানার ওসি নুরুল মুত্তাকিন জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে ডুরি আঙ্গুরি লেইনের একটি ছয় তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার ঘরে গলায় তার প্যাঁচানো লাশটি পাওয়া যায়।
নিহতের নাম আলাউদ্দিন শিকদার (২৯)। তার বাসা পাশের ছোটবাট মসজিদ এলাকায়।
যে বাসায় লাশটি পাওয়া গেছে সেটি নিহতের খালার বাড়ি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তার খালাত ভাই জুবায়ের হোসেন সুমনকে আটক করেছে পুলিশ।
লালবাগ থানার এসআই মো. আজগর আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিহতের গলায় তার প্যাঁচানো ছিল। লাশটি দেখে মনে হয়েছে অন্তত একদিন আগে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।”
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আলাউদ্দিন নিউ মার্কেটে ‘শাপলা ট্রেডার্স’ নামে একটি মাছের আড়তে কাজ করতেন। ওই আড়তের মালিক সম্পর্কে আলাউদ্দিনের ভগ্নিপতি। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে আলাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয়।
তার বাবা হোসেন শিকদার বলছেন, খালাতো ভাই সুমন ফোন করে আলাউদ্দিনকে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। তবে কী কারণে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি হোসেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ছয় তলার বাড়িটি সুমনদের নিজেদের। সুমন বিবাহিত হলেও গত ছয় মাস ধরে স্ত্রী তার সঙ্গে থাকে না। ষষ্ঠ তলার একটি ঘরে সুমন থাকেন, পাশের ঘরে থাকেন তার মা নূরজাহান।
লালবাগ পুলিশের উপ-কমিশনার মফিজুদ্দিন আহমেদ বলছেন, সুমন মাদকাসক্ত। স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। তার স্ত্রীর বাবার বাড়ি পাশের মহল্লায়। গত ছয় মাস ধরে তার স্ত্রী সেখানেই থাকছেন।
“সুমনের সন্দেহ, তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাউদ্দিনের সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে সে খুন করে থাকতে পারে।”
মফিজুদ্দিন বলেন, শনিবার সকালে সুমনের মা কামরাঙ্গীর চরে এক আত্মীয়র বাসায় যান। রাতে ফিরলে সুমন তাকে ঘরের স্টিলের আলমারিতে হাত দিতে নিষেধ করে।
“এরপর সুমন তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করে। এতে ওই বাসার লোকেরা পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে সুমনকে আটক করে থানায় আনে। পরে সুমনের মায়ের সন্দেহ হলে তিনি আলাউদ্দিনের বাসায় খবর দেন। তারাও আলাউদ্দিনের সন্ধান না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ আলমারির তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।”