চবি শিবির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার চায় সিএফসি

প্রায় আড়াই মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসে হওয়া বোমা হামলার ঘটনায় শিবিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে দায়ী করে তাদের গ্রেপ্তার দাবি করেছে চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের একাংশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2014, 06:57 PM
Updated : 22 Nov 2014, 06:57 PM

শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি’র নেতারা এ দাবি ‍জানায়।

বিবৃতিতে শিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয় ছাত্রলীগ নেতারা।

গ্রেপ্তারের দাবি জানালেও শিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। চবি শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার।

বিবৃতিদাতারা হলেন- ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি অমিত কুমার বসু ও এ এম শাহাদাত হোসেন জুয়েল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুন ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন।

চবি’র রাজনীতিতে এরাই সিএফসি গ্রুপের নেতৃত্বে দিচ্ছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষক বাসে হামলার পরিকল্পনা ও হামলাকারী শিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে তখনই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি উঠে পড়ে লেগেছে।

চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্রবাসের আসন ‘বৈধ’ শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দেয়ার দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় ‘হলের আবাসিক শিক্ষার্থী’।

শিবির সমর্থিত ওই ব্যানারে ধর্মঘট চলাকালে ১০ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী সড়কের ছড়ারকুল এলাকায় শিক্ষকবাহী দুটি বাসে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে শিক্ষকসহ ১৪ জন আহত হন।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর আশেপাশের এলাকা থেকে দুই শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ। ওইদিন পুলিশ, শিক্ষক, প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ ঘটনার জন্য ইসলামী ‍ছাত্র শিবিরকেই দায়ী করে।

এদিকে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হল খুলে দেয়া হয়। এরপর রোববার থেকে বন্ধ থাকা আরেক ছাত্রাবাস সোহরাওয়ার্দীও খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার হলগুলোতে ‘বৈধ’ শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দে দাবিতে আবার ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় শিবির সমর্থিত একই সংগঠন ‘হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা’।

শনিবারের বিবৃতিতে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, শাহ আমানত হলে যখন ছাত্রলীগের সহায়তায় সব বৈধ শিক্ষার্থীর অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে তখনই বিশ্ববিদ্যালয় অচলের হুমকি দিয়ে তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

“একই সাথে তারা (শিবির) শাহ আমানত হল দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। একটি প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি শিবিরকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের ভেতরেও অস্থিতিশীলতা তৈরিতে ব্যস্ত।”

বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে সিএফসি নেতারা বলেন, "যে শিবির ক্যাডাররা শিক্ষকবাসে হামলা চালায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ছাত্রাবাসে পুর্নবাসন করতে নানা ছলচাতুরি করছে।"

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান ছাত্রাবাসের শূণ্য আসন বরাদ্দ পেতে আগ্রহী ১২ শিবির কর্মীর ‘নিরাপত্তাহীনতার’ অজুহাতে হল প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে আলাদা সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।

সিএফসি নেতারা বিবৃতিতে যে ‍চার দফা দাবি ‍জানান তা হল- শিবির সভাপতি-সম্পাদককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার, শিক্ষকবাসে হামলাকারী শিবির ক্যাডারদের গ্রেপ্তার, মামলার আসামি শিবির ক্যাডারদের ছাত্রবাসের আসন বরাদ্দ বাতিল ও ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিষিদ্ধ করা।