গত ৭ অক্টোবর রাতে সোহাগপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মজিবর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম, তার তিন মেয়ে মনিরা আক্তার মরিয়ম (১৪), মিম আক্তার (১০) ও মলি আক্তারকে (৭) ঘরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়।
তখনই পুলিশ জাহাঙ্গীরকে এই ঘটনার মূল হোতা বলে সন্দেহ করে।
প্রতিবেশী বাহারউদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন ধরে মজিবরের বড় মেয়ে মরিয়মকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাহাঙ্গীর ওই ঘটনা ঘটায়।
ঘটনাস্থল থেকে পেট্রোলের দুটি কন্টেইনার উদ্ধার হলে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তারপর থেকেই জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের সবাই পলাতক ছিল।
তবে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে জাহাঙ্গীরের ভাইসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাদের মধ্যে পেট্রোল সরবরাহকারী রিকশাচালক আলী হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।