শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির চেয়ারপারসন ড. তাসনিম সিদ্দিকী।
রামরুর অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- আন্তর্জাতিক ফোরাম ব্যবহার করে ১৫ জনের কম কর্মী নিয়ে যেসব ফিশিং ট্রলার কাজ করে সেগুলোকে শ্রম আইনের অধীনে আনতে থাই সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা; বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সরাসরি দুই দেশের সরকারী পর্যায়ে নেয়া (জি টু জি) কার্যক্রম পুণর্মূল্যায়ন করা; অভিবাসন আইনের অধীনে অনিয়মিত অভিবাসনের সঙ্গে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে মামলা করা এবং অনিয়মিত অভিবাসনের ভয়ঙ্কর রূপ বোঝাতে তথ্য সরবরাহ।
“এ কারণেই অবৈধ উপায়ে অভিবাসনের প্রবণতা বাড়ছে। যেহেতু জি টু জি কাজ করছে না সেহেতু এটিকে পুণর্মূল্যায়ন করা উচিত। অন্য কোন ফলপ্রসু কার্যক্রম সরকারের হাতে নেয়া উচিত।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রামরুর সমন্বয়ক অধ্যাপক সি সি আবরার বলেন, “মানুষ বিদেশে যেতে চায়। কিন্তু বৈধ পথে যেতে না পেরে অবৈধ পথ ধরছে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে যে কার্যক্রম রয়েছে সেটি নিরাপদ নয়।”
বেসরকারী উন্নয়নমুলক সংস্থা ব্র্যাকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শিপা হাফিজ বলেন, “এটি মাইগ্রেশন নয়, বরং হিউম্যান ট্র্যাফিকিং। মানুষের সচেতনতা ও প্রতিরোধই পারে এটিকে কমিয়ে আনতে। যতই আইন থাকুক, মানুষ না জাগলে এটি হতেই থাকবে।”
ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টাকালে প্রায়ই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের ঘটনা ঘটে। গত ১৭ নভেম্বর অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচারের পথে গভীর সমুদ্রে ৬১৪ আরোহীসহ মিয়ানমারের পতাকাবাহী একটি ট্রলার আটক করে নৌ-বাহিনী।
ট্রলারে করে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে আটক হওয়া সবচেয়ে বড় চালান ছিল সেটি।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকেও ১৩০ বাংলাদেশি 'ক্রীতদাস' উদ্ধার করা হয়, যারা অবৈধভাবে ওই দেশে গিয়েছিলেন।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পাচার হয়, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এর বাইরে একটি বড় অংশ কাজের খোঁজে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন।