রোববার সকাল ১০টায় ছাত্রাবাসটি খুলে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা আরেক ছাত্রাবাস শাহ আমানত খুলে দেয়া হয়।
সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ার সাঈদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামীকাল (রোববার) সকালে হল খুলে দেয়া হতে পারে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
“গত ৮ নভেম্বর থেকে হল খুলে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিছু কারণে তখন হল খোলা সম্ভব হয়নি।”
গত ২৫ অগাস্ট থেকে বন্ধ থাকা সোহরাওয়ার্দী হলে মোট আসন সংখ্যা ৩৭৫।
প্রাধ্যক্ষ আনোয়ার সাঈদ বলেন, হল বন্ধ হওয়ার আগে যেসব শিক্ষার্থী ছিলেন তাদের কারো-কারো ছাত্রজীবন শেষ হয়ে গেছে। হল খোলার পর প্রথম ধাপে আগে বরাদ্দ পাওয়া বৈধ শিক্ষার্থীরাই আসন পাবে।
“বাকি আসনগুলো বরাদ্দের জন্য ২৫ ও ২৬ নভেম্বর সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।”
গত ২৪ অগাস্ট বিকালে চবির সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্র শিবির ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।
সেদিন সন্ধ্যায় শিবির নিয়ন্ত্রিত ওই ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালিয়ে ১৩টি পেট্রোল বোমা, একটি দা ও বেশ কিছু পাথর উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন (২৫ অগাস্ট) দুপুরে হলটি বন্ধ করার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি শিবির-ছাত্রলীগের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর বন্ধ করে দেয়া হয় শাহ আমানত হল।
গত ৮ নভেম্বর দুটি হলই খুলে দেয়ার দিন নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ১৯ নভেম্বর খুলে দেয়া হয় শাহ আমানত হল।
শাহ আমানত হলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইতিমধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছে চবি শাখা ছাত্রলীগের তিন পক্ষের মধ্যে।
শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের সব আসন ‘বৈধ’ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র শিবির সমর্থিত ‘হলের আবাসিক শিক্ষার্থী’ নামের একটি সংগঠন।