জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে ওই সংঘর্ষে নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাংচুর ও প্রক্টর আহত হওয়ার ঘটনায় রেজিস্ট্রার ইশফাকুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
হত্যামামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ২৫০ জনকে এবং রেজিস্ট্রারের করা মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১২০ জনকে আসামি করা হয়।
একই দিন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শিপলুর বাসায় অভিযান চালিয়ে গুলিসহ রিভলবার এবং ১৯টি রামদা উদ্ধারের ঘটনায় এসআই প্রদীপ কুমার বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা করেন।
এমামলায় শিপলু ও খোকনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার রহমত উল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার দুপুরে পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ।
আটককৃতদের মধ্যে মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী ছাড়াও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও মদনমোহন কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়, যাতে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ বেশকিছু বহিরাগত অংশ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংঘর্ষের পর কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।