শফিউল হত্যার তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে: আইজিপি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্বসহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2014, 12:34 PM
Updated : 22 Nov 2014, 12:34 PM

শনিবার রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৪তম বহিরাগত ক্যাডেট সাব ইন্সপেক্টর ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের যতগুলো কারণ থাকতে পারে সবগুলোই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অগ্রগতিও হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।”

খুব শিগগিরই এই ঘটনার মোটিভ জানা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন আইজিপি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসান মাহমুদ বলেন, “একটি ঘটনা ঘটলে অনেক সময় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবেই ‘ক্লু’ উদ্ধার করতে পারে। আবার অনেক সময় দেরিও হয়। তবে দেরি হলেও ঘটনার রহস্য বের করা সম্ভব হয়। এ নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই।”

শফিউল হত্যাকাণ্ডটি পুলিশ ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে তদন্ত করছে এবং সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েই দ্রুততম সময়ে নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে এ তদন্ত কাজ শেষ করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

এর আগে তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন সালাম ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে পুলিশের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন।

সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ নাঈম আহমেদ। এসময় উপাধ্যক্ষ সোহরাব হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৫ নভেম্বর ক্যাম্পাসসংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন লালনভক্ত শফিউল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এন্তাজুল হক পরদিন মতিহার থাকায় একটি হত্যা মামলা করেন, যাতে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটকদের মধ্যে থেকে ১১ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এর মধ্যে এক দফা রিমান্ডেও নিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার তাদের রাজশাহীর মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে আবারো ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ, রোববার যার শুনানির দিন রয়েছে।

ওই রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, শফিউল হত্যায় ‘জামায়াত নিয়ন্ত্রিত’ জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। আর এই ১১ আসামির সবাই জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত।

নিহত শিক্ষকের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে সৌমিন শাহরিদ জেভিনও তার বাবার হত্যায় ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোর জড়িত থাকার সন্দেহের কথা বলেছেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘণ্টা পাঁচেক পর আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২ নামে একটি ফেইসবুক পৃষ্ঠায় অধ্যাপক শফিউলকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে তাকে হত্যার দায়ও স্বীকার করা হয়।

</div>  </p>