নাদের মুন্সী রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ছিলেন। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তার ছেলে আবু হেনা মুন্সী।
শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর নাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার প্রথম প্রহরে তার মৃত্যু হয় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে সকালে লাশ মর্গে নেয় পুলিশ।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই মো. হাসান মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, “সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর আমরা পাংশা থানাকে লাশটি হস্তান্তর করব।”
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সুজীত কুমার জানান, নাদের মুন্সীর দেহে দুটি বুলেট বিঁধেছিল।
নিহতের ছেলে আবু হেনা মুন্সী ফরিদপুরে হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, তার ছোট ভাই টুটুল মুন্সী বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি হত্যামামলা করেছেন।
“আমার বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই,” বলেন কৃষক লীগ নেতার এই ছেলে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া বাজার থেকে পাংশা যাওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধা নাদেরের ওপর গুলি চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত।
পাংশা থানার ওসি মো. আবুল বাসার বলেন, “আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হব।”