যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪’ এর ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিন শুক্রবার এই পুরস্কার নেন জয়।
ডিজিটাল ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেয়া, দারিদ্র্য বিমোচন এবং স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে জয় তার মা শেখ হাসিনার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি পুরস্কার নেন জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ইপিং ঝু’র হাত থেকে।
প্রধানমন্ত্রীপুত্র তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা প্রশাসনের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এই অ্যাওয়ার্ড তারই স্বীকৃতি।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে জয় বলেন, “একাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালিরা যেমন লাঠি হাতেই পরাক্রমশালী একটি বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেছিলেন, ঠিক একইভাবে এখন শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিয়োজিত।”
অনুষ্ঠান বিভিন্ন দেশের সরকারি, বেসরকারি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিনও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে তৃণমূলে তথ্য প্রযুক্তি প্রসার, সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন, সর্বসাধারণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে সমাজে অবহেলিত মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতি এবং সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
‘অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস’ (ওএএস) এবং জাতিসংঘের ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন’ কার্যালয় যৌথভাবে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো’ আয়োজন করে।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশ এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষিণের দেশগুলোর সামগ্রিক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা দিগন্ত বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে জাতিসংঘে সাউথ সাউথ কো-অপারেশন কার্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়।