নীলফামারীতে বাল্য বিয়ে পণ্ড, বাবা-চাচার দণ্ড

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে মেয়ের বাবা ও বরের চাচাকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2014, 03:04 PM
Updated : 21 Nov 2014, 03:04 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ছাত্রীটির  বাবা নেজাম উদ্দীন (৫৫) ও বরের চাচা ইসরাফিলকে (৫০) ২১ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

শুক্রবার দুপুরে সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (নাম প্রকাশ করা হলো না) সঙ্গে একই উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের মকবুল হোসেনের ছেলে সাদা মিয়ার (১৭) বিয়ের আয়োজন চলছিল কামারপাড়া গ্রামে।

“খবর পেয়ে পুলিশসহ সেখানে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। তাদের উপস্থিতিতে বরের বাবা পালিয়ে গেলেও বিউটির বাবা নেজাম উদ্দীন এবং বরের চাচা ইসরাফিলকে আটক করে পুলিশ।

“পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যেককে ২১ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।”

এদিকে ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের চরচরাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী।

ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম তুহীন জানান, চরচরাবাড়ি গ্রামে ওই ছাত্রীর বাবার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিভাবকের সম্মতিতে বিয়ে বন্ধ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাবেত আলী জানান, মেয়েটির বাবা মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ে দেবেন বলে মুচলেকা দেয়ায় তাকে সাজা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।