বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ছাত্রীটির বাবা নেজাম উদ্দীন (৫৫) ও বরের চাচা ইসরাফিলকে (৫০) ২১ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
শুক্রবার দুপুরে সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (নাম প্রকাশ করা হলো না) সঙ্গে একই উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের মকবুল হোসেনের ছেলে সাদা মিয়ার (১৭) বিয়ের আয়োজন চলছিল কামারপাড়া গ্রামে।
“পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যেককে ২১ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।”
এদিকে ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের চরচরাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম তুহীন জানান, চরচরাবাড়ি গ্রামে ওই ছাত্রীর বাবার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিভাবকের সম্মতিতে বিয়ে বন্ধ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাবেত আলী জানান, মেয়েটির বাবা মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ে দেবেন বলে মুচলেকা দেয়ায় তাকে সাজা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।