শুক্রবার উত্তর-চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতে জেলা শাসকের (ডিএম) কার্যারয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মো. আকতারুজ্জামান জানান, সম্মেলনে যোগদানের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ থেকে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত যান।
এ ছাড়া তিন জেলার প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন উত্তর-২৪ পরগনার জেলা শাসক সঞ্জয় বনশাল।
তার সঙ্গে উত্তর-২৪ পরগনার পুলিশ সুপার, বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ছিলেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উভয় দেশের এজেন্ডাগুলো আলোচনা হয়েছে।
সম্মেলনের বাংলাদেশের পক্ষে আলচ্যসূচিতে তোলা হয় বেনাপোল ও ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের ওয়ার হাউজ সুবিধা বৃদ্ধি, উভয় দেশের জেলে আটকদের কারাভোগ শেষে উভয় দেশের নাগরিকদের মুক্তি দিয়ে ফেরত পাঠানো, মানব পাচার, অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার, মাদক, অস্ত্র ও গবাদি পশু পাচার বন্ধ করা, সীমান্ত পিলার পুনর্নির্মাণ ও মেরামত, ইছামতি ও কালিন্দী নদীর তীর নিহ্নিতকরনে জরিপ পরিচালনা করা, স্থায়ী পিলার স্থাপন এবং বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও মেরামত।
ভারতের পক্ষে তোলা হয় ইছামতি নদীর বাঁধ মেরামত, গোবরডাঙ্গা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্য ওয়্যার হাউজ উন্নয়ন, সাজা ভোগের পর আটকদের ফেরত পাঠানো, সীমান্ত এলাকায় আইনশৃংখলা রক্ষা এবং সীমান্তের জিরো লাইন থেকে দেড়শ গজের মধ্যে উন্নয়ন কাজের সমস্যা সমাধান।