শুক্রবার ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া গ্রামে কয়েকদফার এ হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে মোহাম্মাদ ফকিরসহ (৪৫) পাঁচ জনকে ফরিদপুর ও নগরকান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ তেহারদ্দীন মাতুব্বর ও তার ভাই সাইদ মাতুব্বর নামে দুজনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সালথা থানার এসআই নিখিল অধিকারী জানান, কামদিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম মাতুব্বর ও সিদ্দিক মাতুব্বরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
সকালে নুরুল ইসলামের দলের মোহাম্মাদ ফকিরকে কুপিয়ে আহত করে সিদ্দিকের লোকজন।
এরপর সিদ্দিক মাতুব্বরের সমর্থক লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের ‘চিহ্নিত দাঙ্গাবাজ’ তেহারদ্দীন মাতুব্বর ও তার লোকজন কামদিয়া গ্রামে এসে নুরুল ইসলামসহ তার দলের লোকজনের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ হামলা ও ভাংচুর চলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত।
নুরুল ইসলামের ৫টি ঘরসহ তার দলের অন্তত ২০ বাড়িঘর ভাংচুর করে ঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা, কৃষিপণ্য লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের মারধরে অন্তত ২০ জন আহত হন।
এসআই নিখিল আরও জানান, প্রথমে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) সাচুল হক গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান এসআই নিখিল।