শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2014, 03:44 AM
Updated : 21 Nov 2014, 12:46 PM

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবকও অর্পণ করেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময়ও বিউগল বাজিয়ে সামরিক কায়দায় সালাম জানানো হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার জন্য জীবন দেওয়া দেশের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই শিখা অনির্বাণে দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান এবং সেখানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এরপর বীর শ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের নিয়ে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বুধবার বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, “আমাদের সশস্ত্রবাহিনী একটি উঁচু পেশাদার, দক্ষ ও সুশৃঙ্খল বাহিনী। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যগণ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

“সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যগণ নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে একটি আধুনিক সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। তার হাতে গড়া সে বাহিনী আজ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন তাদের সকল কর্মকাণ্ডে।

“আমি আশা করি, সশস্ত্রবাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব এবং উন্নত নৈতিকতার আদর্শে স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাবেন।”