জঙ্গি অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের

জঙ্গিদের অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্ধ করার তাগিদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান এড রয়েস।

নিউ ইর্য়ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 06:54 PM
Updated : 20 Nov 2014, 06:54 PM

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন বুধবার দেখা করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।

এ সময় রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস কমিটির চেয়ারম্যানকে বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করছে।

এড রয়েস বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের উত্থান এবং উগ্রপন্থিদের মদদে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে ওই সব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে আইন প্রণয়নের তাগিদ দেন।

দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব দেশকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার বলেও মনে করেন রিপাবলিকান পার্টির প্রভাবশালী এই কংগ্রেসম্যান।

ক্যাপিটাল হিলে রয়েসের কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিনের এই বৈঠকে বিশ্ব^ব্যাপী সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের উত্থানের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের আন্তরিকতাকে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় সাধুবাদ জানিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেসম্যান রয়েস।

এ সময় ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন ও উগ্র-অপশক্তির উত্থান সম্পর্কে কংগ্রেসম্যানকে জানান রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সন্ত্রাস এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখছে বলেও কংগ্রেসম্যান রয়েসকে আশ্বস্ত করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রকে নিয়ে সন্ত্রাস দমনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

এ সময় বাংলাদেশি পণ্যে জিএসপি পুনর্বহালে কংগ্রেসম্যান এড রয়েসের সমর্থন কামনা করে জিয়াউদ্দিন বলেন, “তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিতকল্পে সরকার যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ওই প্ল্যান বাস্তবায়নে ব্যাপক অগ্রগতিও হয়েছে।”

অন্যান্য উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা চান তিনি।

রয়েস বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাস দেন।