এই পাঁচ জন হলেন- মহরম আলী, বিল্লাল হোসেন, কাজী মিয়া, সবুজ মিয়া ও ঠাণ্ডা মিয়া।
দালালরা জোরকরে টেকনাফ থেকে তাদের ট্রলারে তুলে দেয় এবং ছোট সেই ট্রলার কয়েকদিন চলার পর বড় ট্রলারটিতে ওঠেন বলে আদালতে জানান তারা।
সেখানে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে আদালতে বলেন পাঁচ জনই।
চট্টগ্রাম আদালতের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উদ্ধার হওয়া পাঁচ ব্যক্তি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়া এ ঘটনায় করা মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের মামলার আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ আবেদন করলেও বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি হয়নি।
সোমবার সকালে সেন্টমার্টিন থেকে ১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে ও বাংলাদেশ সমুদ্রের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের দক্ষিণ অংশের স্থলভাগ থেকে প্রায় ২৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা মিয়ানমারের পতাকাবাহী একটি ট্রলার আটক করে নৌবাহিনী।
ট্রলার থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মোট ৬২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাতে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘দুর্জয়’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বৈদেশিক নাগরিক সম্পর্কিত আইন ১৯৪৬ এর (১৪) ধারা অনুসারে দায়ের করা মামলায় মিয়ানমারের ৮২ জন নারী ও পুরুষকে আসামি করা হয়।
এছাড়া মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০০২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় বাংলাদেশি তিন নাগরিকসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ মিয়ানমারের নাগরিক অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলারও আসামি। এ হিসেবে দুই মামলায় মোট আসামি ৮৫ জন।
এই ৮৫ জনকে বুধবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।