মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সফরে উপস্থিতির আনুষ্ঠানিকতা কমছে

মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীদের বিদেশ সফরকালে বিমানন্দরে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে উপস্থিত থাকতে হবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 06:40 PM
Updated : 20 Nov 2014, 06:40 PM

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সফরের সময় প্রয়োজন না হলে অভ্যর্থনা ও বিদায়ের সময় জেলা সদরে জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপারের উপস্থিতির বাধ্যবাধকতাও শিথিল করা হয়েছে।

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রিদের রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কাজে বিদেশ ও দেশের অভ্যন্তরে সফরকালীন অনুসরণীয় রাষ্ট্রাচার সংক্রান্ত নির্দেশাবলি সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।

২০০১ সালের নভেম্বর মাসে জারি করা নির্দেশনা সংশোধন করে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগে যে নির্দেশনায় মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীদের বিদেশ সফরকালে বিমানন্দরে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে উপস্থিত থাকতে হতো, নতুন নির্দেশনায় তা থাকছে না।

“প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এটা জারি করা হয়েছে। এর মূল কথা হলো, কম আনুষ্ঠানিকতায় বেশি কাজ। তবে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী যদি মনে করেন বা প্রয়োজন মনে করেন, তবে অবশ্যই সচিব উপস্থিত থাকবেন।”

নতুন নির্দেশনায় মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীদের বিদেশ সফরকালে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিব বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।

প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রিদের বিদেশ সফরকালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব বা উপসচিব বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।

নতুন নির্দেশনায় অভ্যন্তরীণ সফরের বিষয়ে বলা হয়, মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী জেলা সদরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা ও বিদায় জানাবে।

জেলা সদরে উপস্থিত থাকার জন্য জেলা প্রশাসক অথবা পুলিশ সুপারের নিজের সরকারি সফর বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

তবে জেলা প্রশাসক পূর্বেই নিজের সফরসূচি জারি করে থাকলে মন্ত্রীর সফরসূচি পাওয়ার পরই যোগাযোগ করে নিশ্চিত হবেন যে তার সদরে থাকা আবশ্যক কি না। মন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করলে জেলা প্রশাসকের নিজের সফরসূচি বাতিল করতে হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

উপজেলা সদর বা অন্য কোনো স্থানে আবশ্যক না হলে মন্ত্রীর অভ্যর্থনা বা বিদায়ে জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপারের উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই।

মন্ত্রীর আগমন ও প্রস্থানের সময় আবশ্যক না হলে বিমানবন্দর বা রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকা বা চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসকের উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।

সফরকালে মন্ত্রীর নিরাপত্তা, রেলযোগে ভ্রমনকালীন সময়ে নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

সাধারণ নির্দেশনাবলিতে বলা হয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রিদের সরকারি সফরের সময় যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ব্যক্তিগত সফরের জন্য যানবাহন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হলে তাদের প্রচলিত নিয়মে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।

সাধারণ নির্দেশনাবলির বিষয়টি আগের নির্দেশনায়ও ছিল বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।