রিমান্ড শেষে কারাগারে সাগর-রুনির বাড়ির দুই দারোয়ান

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির বাড়ির দুই দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 06:10 PM
Updated : 20 Nov 2014, 06:10 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম মো. ইউনুস খান বৃহস্পতিবার দুই দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল ও এনাম আহম্মেদ ওরফে হুমায়ুন কবীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রিমান্ড ফেরতের প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের আড়াই বছরেও কোনো সুরাহা না হওয়ার মধ্যে গত ১১ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম ভুইয়া দুই দারোয়ানকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়।

তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের ইনভেস্টিগেশন এবং ফরেনসিক উইংয়ের সহকারি পরিচালক এএসপি ওয়ারেছ আলী মিয়া দুই আসামিকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে গত ২১ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর ও রুনি খুন হওয়ার পর দুই দারোয়ানকে হেফাজতে নিয়ে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

পুলিশের হাত ঘুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে র‌্যাব তদন্তের দায়িত্ব নিলেও দুই বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি।   

এর মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিল করলে বিচারক তাকে কিছু পরামর্শ দেন। এর মধ্যে দুই দারোয়ানকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিও ছিল।

শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম প্রথমে মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন, এরপর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রবিউল আলম এবং র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার জাফর উল্লাহর হাত ঘুরে ওয়ারেছ আলী এখন মামলাটি তদন্ত করছেন।

বক্ষব্যাধি হাসপাতালের এক চিকিৎসককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে এই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এছাড়া নিহত রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান এবং বাড়ির দারোয়ান পলাশ ও এনামকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।