সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমানের এক ডিজিএমসহ পাঁচজনকে আটকের পর বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।
এদিন সংসদে অনির্ধারিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম সোনা চোরাচালানে জড়িত হিসেবে যে ৪২ জনের নাম গণমাধ্যমে এসেছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ফিরোজ রশীদ বলেন, “এ ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বিমানের এক শ্রেণির কর্মকর্তার যোগসাজশে সোনা চোরচালান হয়। এর পেছনে রয়েছে বিমানের চেয়ারম্যান।
“তার কথিত ধর্মপুত্র পলাশের দাপটে সমস্ত বিমানবন্দর তটস্থ থাকে। বিমানের শিডিউল থেকে শুরু করে সবকিছুই তার নিয়ন্ত্রণে।”
ডিজিএম এমদাদসহ আটক পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ। তাদের সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ফিরোজ রশীদ বলেন, “বিমানের চেয়ারম্যান পদে জামালউদ্দিন গত ৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনজন মন্ত্রীর পরিবর্তন হয়েছে, পুরো বোর্ডও পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জামালউদ্দিন বহাল তবিয়তে আছেন। তিনি একছত্র প্রভাব প্রতিষ্ঠা করেছেন বিমানবন্দরে।”
জামালউদ্দিনকে তলবের জন্য বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে আহ্বান জানান এই সংসদ সদস্য।
“আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যান কোনো বিবৃতি দেননি। বিমানমন্ত্রী বলেছেন, কী দুর্ভাগ্য এতবড় চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরও চেয়ারম্যান একবার টেলিফোনে আলাপ করেননি। এর কৈফিয়ত চাইতে হবে।”
চোরাচালাণানে জড়িতদের যাদের নাম এসেছে, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ফিরোজ রশীদ আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, জড়িতরা যেন পার না পায় সে পদক্ষেপ নিতে হবে।
হাজি সেলিম বিমানের ঘটনায় অসেন্তোষ জানিয়ে বলেন, “কথায় বলে-শুঁটকির গুদামে বিড়াল চৌকিদার। আমাদের দশা হয়েছে তাই।
“বিমান বন্দরে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানসহ অপরাধী চক্র ধরা পড়েছে। এতদিন এরা ছিল চুনোপুটি, এবার রাঘববোয়াল ধরা পড়ল। বিমান কর্মকর্তাসহ যারা ধরা পড়েছে, তারা কোনোক্রমেই যেন পার না পায়।”