এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন ও স্বতন্ত্র আকতারুজ্জামান মন্নু।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নিবাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আট জন মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছিলেন।
তবে, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে দুই জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাই, ৩০ নভেম্বর প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা প্রদান ও প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিটের অভিযোগ করেছেন আকতারুজ্জামান মন্নু।
আকতারুজ্জামান মন্নু বলেন, "সকালে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাধার কারনে মনোনয়নপত্র দাখিল না করে ফিরে আসতে হয়।
“এরপর জেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করার জন্য আমার শ্যালিকা নুরজাহান বেগম ও ছেলে হাসান উল বান্নাকে পাঠালেও মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়নি।
“পরে পুলিশ পাহারায় আমি নিজে জেলা নির্বাচন অফিসে এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।"
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, নিয়ম না থাকায় প্রার্থীর স্বজনদের কাছ থেকে মনোনয়পত্র জমা নেয়া হয়নি। তবে, পুলিশ প্রহরায় তিনি নিজে অফিসে এসে বিকাল ৫টার দিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
গত ৬ অক্টোবর গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদারের মৃত্যুতে রায়গঞ্জ,তাড়াশ ও সলঙ্গার একাংশ নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৩ আসনটি শূন্য হয়। গত ১১ নভেম্বর এ আসনের জন্য তফশীল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।