বৃহস্পতিবার সকালেঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স ক্লাবে সেনাবাহিনীর চারজন বীরশ্রেষ্ঠ, তিনজন বীর উত্তম,ছয়জন বীর বিক্রম ও ১১ জন বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের স্বজনদেরএই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনী প্রধানজেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের নির্দেশে এদেশের আপামর জনতা একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশনিয়েছিল।
“একাত্তরের এইদিনে দেশ মাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিকামী আপামর জনতার সঙ্গে মহানমুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সেনা সদস্যরা। পাকিস্তানিহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে তারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। জাতি তাদের ত্যাগকে আজীবনশ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।”
সেনাপ্রধান ইকবালকরিম বলেন, দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সবসময় দায়িত্ব পালন করেযাবে।
২১ নভেম্বর সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে দেশে-বিদেশে কর্মরত সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরঅভিন্দন জানান সেনাপ্রধান।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদবীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাই মঞ্জুর রহমান, শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহীহামিদুর রহমানের বোন রিজিয়া বেগম, শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামালের মামালেকা বেগম, পুত্রবধূ পারভীন আক্তার মুক্তি, বীর উত্তম মেজর জেনারেল (অব.)চিত্তরঞ্জন দত্তের মেয়ে কবিতা দাসগুপ্ত, বীর উত্তম শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এমইমদাদুল হকের ভাই এস এম তবিবর রহমান, বীর উত্তম লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)জিয়াউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বীর বিক্রমশহীদ লেফটেন্যান্ট খন্দকার আজিজুল ইসলামের ভাই খন্দকার মো. তৈয়ব, বীর বিক্রমহাবিলদার (অব.) গোলাম মোস্তফা, বীর বিক্রম শহীদ সিপাহী খন্দকার রেজানুর রহমানেরভাই খান সারোয়ার হোসেন, বীর বিক্রম শহীদ সিপাহী নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ভাতিজা নূরমোহাম্মদ, বীর বিক্রম শহীদ ল্যান্স কর্পোরাল মো. সিরাজুল ইসলামের ভাই জাহাঙ্গীরহোসেন, বীর বিক্রম শহীদ নায়েক আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. হাসান মিয়া অনুষ্ঠানে অংশনেন।
সংবর্ধনা নেওয়াঅন্যদের মধ্যে বীর প্রতীক হাবিলদার (অব.) আমিনুল ইসলাম, বীর প্রতীক হাবিলদার (অব.)খলিলুর রহমান, বীর প্রতীক শহীদ নায়েক সিরাজুল হকের ভাই মিজানুল হক, বীর প্রতীকশহীদ নায়েক মো. সেকান্দার আলীর ভাই আবদুস সোবহান, বীর প্রতীক শহীদ সিপাহী আব্দুলবাসেতের ভাই জহির, বীর প্রতীক হাবিলদার (অব.) আব্দুল হালিম, বীর প্রতীক মরহুমনায়েক আলী আহাম্মেদ খানের স্ত্রী রেহানা বেগম, বীর প্রতীক মরহুম অনারারি ক্যাপ্টেনমো. আব্দুল লতিফের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান, বীর প্রতীক মরহুম দফাদার আবদুলমান্নানের স্ত্রী মমতাজ বেগম, বীর প্রতীক মরহুম অনারারি ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হারিছমিয়ার ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম অনুষ্ঠানে ছিলেন।
বর্ডার গার্ডবাংলাদেশের (বিজিবি) বিজিবির মহাপরিচালক এম এ আজিজ, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগপরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক মো. শাহিনুল ইসলামসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতনকর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।