রাজীব হত্যার অভিযোগ গঠন আরো পেছাল

প্রস্তুতির অভাবের কথা জানিয়ে আসামি পক্ষের আবেদনে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি দ্বিতীয়বারের মতো পিছিয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 11:40 AM
Updated : 20 Nov 2014, 12:08 PM

আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে আগামী ২১ জানুয়ারি। 

হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর গত ২৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ অভিযোগপত্র দিলে বিচার শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

তার সাত মাস পর গত ১৪ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে  অভিযোগ গঠনের জন্য নথিপত্র ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন।

এর মধ্যে একবার পেছানোর পর বৃহস্পতিবার মো. রুহুল আমিনের আদালতে শুনানির জন্য উঠলে আসামি পক্ষের আইনজীবী সময় চাইলে তার আবেদন গৃহীত হয়।

কারাগারে থাকা সাত আসামিকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়েছিল বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ।

রাজীব হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র।

মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকার খিলক্ষেত চৌধুরীপাড়ার মো. ফয়সাল বিন নাঈম দীপ (২২), ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামের মো. এহসান রেজা রুম্মান (২৩), ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার ধলেশ্বর গ্রামের মাকসুদুল হাসান অনিক (২৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলেজপাড়া এলাকার নাঈম ইরাদ (১৯), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া গ্রামের নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), ঢাকার কলাবাগান থানার ভুতেরগলির সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০) ও ফেনীর দাগনভূঁইয়া থানার জয়লস্করের রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০) এবং আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান জসীম উদ্দিন।

মুফতি জসীম ছাড়া বাকি সবাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের বহিষ্কার করে।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের হোতা রানা পলাতক রয়েছেন। তাকে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

আহমেদ রাজীব হায়দার

শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর ১০ দিনের মাথায় গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের কালশীর বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় স্থপতি রাজীবকে।

গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন তুঙ্গে থাকার মধ্যে রাজীবকে হত্যা করা হয়, যিনি ব্লগে যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে এবং ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ড ঘটার পর নিহতের বাবা নাজিম উদ্দিন ঢাকার পল্লবী থানায় হত্যামামলা করেন।

এরপর পুলিশের অভিযানে ২০১৩ সালের ১০ মার্চ ছয় ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ২০ অগাস্ট গ্রেপ্তার করা হয় সাদমান ইয়াছিরকে। অন্য মামলায় গ্রেপ্তার মুফতি জসীমকেও আটক দেখানো হয় এই মামলায়।