ছাত্রলীগের ধর্মঘটে অচল দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগের দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ডাকা ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 10:43 AM
Updated : 20 Nov 2014, 10:43 AM

গত ৪ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অরুণ কান্তি রায় ও একটি হল শাখার সভাপতি জাহিদ হাসানকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর পরদিন থেকেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে লাগাতার আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ১৭ নভেম্বর থেকে একই দাবিতে ডাকা হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।

বিশ্ববিদ্যালয়েরর ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটারের সাহায্যে কৌশলে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। ওই পরীক্ষার্থীকে সহযোগিতা করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে।

ধর্মঘটের সমর্থনে প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে মিটিং-মিছিল করছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস ও চূড়ান্ত পরীক্ষা, গত ১২ নভেম্বর থেকে যা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ অবস্থায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন।

শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন ডরমিটরি-২ এর হল সুপার অধ্যাপক ফজলুল হক।

তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি হল থেকে ৭০ ভাগের বেশি ছাত্র-ছাত্রী হল ত্যাগ করেছে। তারা মিছিল-মিটিং-এ থাকতে চায় না বলে হল ছেড়ে চলে গেছে। "

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ছাত্র নেতাদের কেউ কেউ হলে থাকা শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে মিটিং-মিছিলে যেতে বাধ্য করে। এ কারণেই তাদের মতো অনেক ছাত্র-ছাত্রী হল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

অচলাবস্থার দ্রুত নিরসন দাবি করে দ্রুত ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরতে আগ্রহের কথা জানান এ সকল শিক্ষার্থী।

এদিকে হুমকি দিয়ে মিটিং মিছিলে আসতে বাধ্য করার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাময়িক বহিষ্কৃত অরুণ কান্তি রায়  বলেন, "আন্দোলন চলছে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে। মিথ্যা অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কারের পর এটি আমাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অপপ্রচার। "