কক্সবাজারের ডিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2014, 02:27 PM
Updated : 19 Nov 2014, 02:27 PM

বুধবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ বিচারক মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের আদালতে মামলাটি করেন একেএম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী।

কায়সারুল মহেশখালীর মাতারবাড়ি সিকদারপাড়া এলাকার প্রয়াত নুর আহমদ সিকদারের ছেলে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ জানান, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আদালতে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।  

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

এতে জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা ২৮ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা রয়েছে। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে সাত হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। বাকি তিন হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড যোগান দেবে।

আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। চলছে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের কাজ।

কিন্তু প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের নামে স্বনামে-বেনামে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ২৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আসামিরা।

আসামিদের মধ্যে জেলা প্রশাসকসহ প্রথম নয় জন হলেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। অপর আসামিদের সহায়তা করেছেন তারা।  

অপর আসামিরা (১০ থেকে ২৮ নম্বর পর্যন্ত) জমি বাবদ ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

কিন্তু এদের মধ্যে কারও কারও জমি একেবারেই নেই, আবার কারও কারও আছে ঘোষণার চেয়ে কম জমি।

এভাবে তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ২৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব ) মো. জাফর আলম,  ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আরেফিন আক্তার নুর, মহেশখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার প্রধান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলামসহ স্থানীয় আরও ২১ জন।