বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী বহদ্দার পাড়া রশিদ সওদাগর বাড়ি এলাকার আবদুল হাই ওরফে আবদুল্লাহ (৪৮) এবং নগরীর কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার সিরাজুল ইসলাম সুজন (২৫)।
প্রতিবেশী এক শিশুকে ধর্ষণে আবদুল্লাহ এবং এক তরুণীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের দায়ে সুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনি।
পিপি জেসমিনা আক্তার বলেন, “বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় আবদুল্লাহ শিশুটিকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বাড়ির কাছারি ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।”
ঘটনার দিন শিশুর মা বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
ওই বছরের ৪ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বুধবার এ মামলার ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়। রায় ঘোষণার পর আবদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সুজনের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার ডা. রফিকুল ইসলামের চেম্বারের পেছনের একটি কক্ষে এক তরুণীকে (২০) আটকে রেখে ধর্ষণ করেন তিনি।
সুজন ওই এলাকার বখতিয়ার উদ্দিনের ছেলে।
মামলায় বলা হয়, “স্থানীয় ওই তরুণীর সঙ্গে সুজন বিয়ের একটি ভুয়া কাবিন করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে বিয়ে করতে সে অস্বীকৃতি জানায়।”
এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বুধবার এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয় জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেয়। আসামি সুজন জামিনে বেরিয়ে পলাতক আছেন।