বুধবার সকালে প্রশাসনিক ভবন বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে উপাচার্যের আহ্বানে তার সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।
পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকদের সুবিধা প্রদান, অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিসহ সাত দফা দাবিতে গত ২৭ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করছে শিক্ষক সমিতি। দাবি পূরণ না হওয়ার প্রতিবাদে এরইমধ্যে ৩১টি প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক পদ থেকে ২৫ শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।
সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়ে থাকা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেলা আড়াইটার দিকে উপাচার্য তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান।
শিক্ষক সমিতির নেতারা দেখা করতে গেলে উপাচার্য তাদের দাবি মেনে না নিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে বলেন। শিক্ষক নেতারা সেখানে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র বর্মন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপাচার্য আলোচনার জন্য আমাদেরকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। কিন্তু দাবির বিষয়ে আলোচনা না করে আমাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন এবং সাফ জানিয়ে দেন আমাদের কোনো দাবি তিনি মেনে নেবেন না।
“আমরা সেখানেই তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। তাকে কোনো ধরনের সহযোগিতাও করা হবে না।”
দাবি পূরণ না হলে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র বর্মণ।
সকালের অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাইদুল হক, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক সরিফা সালোয়া ডিনা। এ সময় শিক্ষকরা উপাচার্যের একগুঁয়েমি ও স্বেচ্ছাচারী আচরণের সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উপাচার্য নূর উন নবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বাস্তবায়ন হতে সময় লাগবে। এছাড়া পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকরা সুবিধাসহ পদমর্যাদা পাওয়ার যে দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তা না দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
“ইউজিসির সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
“শিক্ষকদের ডেকে বলেছি অন্যায্য দাবি তুলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অকার্যকর করার চেষ্টা করছেন। তা কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। এ কথা বলতেই শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে বের হয়ে যান।”