রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন আরো ৯ দিন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদ এবং খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে আরো নয় দিন ক্লাস-পরীক্ষা হবে না সমাজবিজ্ঞান বিভাগে, যেখানে দীর্ঘ দিন ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2014, 09:15 AM
Updated : 19 Nov 2014, 09:15 AM

এই হত্যকাণ্ডের পরদিন রোববার থেকে টানা তিন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক সমিতির বর্জন শেষে বুধবার থেকে সব বিভাগেই যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হলেও চিত্রটা ভিন্ন ছিল সমাজবিজ্ঞান বিভাগে।

সহকর্মী ও শিক্ষককে হারানোর ক্ষোভে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

“সহকর্মীকে হারিয়ে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। অধ্যাপক শফিউলের প্রকৃত খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কোনো স্বস্তি নেই। তাই বিভাগের পক্ষ থেকে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে,” বলেছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ারদাতুল আকমাম।

অন্যান্য সব বিভাগে আগের নিয়মে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার পাণ্ডে বলেন, শিক্ষক সমিতির ঘোষিত ১৫ দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের পর বুধবার থেকে তা যথারীতি শুরু হয়েছে।

হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সমিতির পক্ষ থেকে ঘোষিত সব কর্মসূচি সময়মতো পালন করা হবে বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক শফিউলের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বুধবার সকালেও মানববন্ধন হয়েছে।

একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি রাজশাহী শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধনে ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেন।

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মানববন্ধনে বলেন, “প্রশাসনকে শফিউল স্যারের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

শনিবার বিকালে বাসায় ফেরার পথে ক্যাম্পাস সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম শফিউল ইসলাম লিলনকে, যিনি ছিলেন একজন লালনভক্ত।

কারা কেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কিছু জানাতে পারেনি।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।