মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিআরটিএর অভিযানের প্রথম এক সপ্তাহে সাড়ে ছয় হাজার মামলা হয়েছে, জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং কারাদণ্ড হয়েছে ৩৬ জনের ও ১১৭টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে।
“অভিযানের ফলে দুর্ঘটনা কমে এসেছে। যেখানে প্রতিদিই ১৩টি দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানে সপ্তাহে হয়েছে ১৩টি। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের ও আহত হয়েছে ৪৬ জন।”
গত ১০ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
দুর্ঘটনা ও যানজট সহনীয় মাত্রায় না আসা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এ অভিযান কোনো দিন বন্ধ হবে না, যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে আকস্মিক অভিযান চলবে।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বিআরটিএতে শুধু বৈধ যানবাহনের হিসাব রয়েছে। অবৈধ যানবাহনের কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।”
তিনি জানান, ঢাকা মহানগরীতে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৪। এর মধ্যে বাস ২১ হাজার ৬১৬টি, মিনিবাস ৯ হাজার ৯০৪টি, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ এ ধরনের যান ২ লাখ ৩ হাজার ৩৩টি, মোটরসাইকেল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৪৬ এবং অন্যান্য যানবাহন ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫টি।
মন্ত্রী আরো জানান, দেশের সড়কগুলোর মধ্যে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান রয়েছে ২২৭টি। এর মধ্যে ১৪৪টি স্থানে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যেটি বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমবে।
পাঁচ বছরে ১ হাজার ৯৩টি রেল দুর্ঘটনা
সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট ১ হাজার ৯৩টি রেল দুর্ঘটনায় ১৫০ জন নিহত ও ৩৮৬ জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় রেলের ক্ষতি হয়েছে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বেশি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট অনুমোদিত ৪০ হাজার ২৬৪টি পদের মধ্যে ১৩ হাজার ৩২৬টি শূন্য আছে। আর কর্মরত আছেন ২৬ হাজার ৯৩৮ জন।
বর্তমান সরকারের আমলে রেলওয়েতে মোট ৬ হাজার ৯৩১টি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।