মঙ্গলবার সকালে মো. সোলেমানকে (৬০) অপহরণ করা হয়। দুপুরে তার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা। সোলেমান ওই এলাকার প্রয়াত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অরবোধ ও যানবাহন ভাংচুর করেছে। পরে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
নিহতের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম জানান, তিন মাস আগে তার চাচাত ভাই মুর্শেদ আলমকে খুন করেছিল মুহুরিপাড়ার ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী লিয়াকত বাহিনীর’ সদস্যরা।
এর জেরে তার বাবাকে হত্যা করা হয় বলে তিনি জানান।
আমিনুল ইসলাম আরও জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে লিয়াকত বাহিনী তার বাবাকে অপহরণ করে খুন করেছে।
নিহতের বড় ভাই ইসমাইল জানান, দুপুর দেড়টার দিকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে লিয়াকত বাহিনীর বাহিনীর সদস্যরা তাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে জানায় যে তার ভাইকে খুন করা হয়েছে।
সোলাইমানের লাশ নির্মাণীধীন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পেছনের ছরায় রয়েছে বলেও জানায় তারা।
“পরে দুপুর ২টার দিকে ওখান থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করা হয়,” বলেন তিনি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে ওই বৃদ্ধকে খুন করেছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মাস তিনেক আগে নিহতের ভাতিজা মুর্শেদ আলমকেও খুন করেছিল দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী লাশ নিয়ে রাস্তায় মিছিল করে এবং এক ঘণ্টা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় ১০টি যানবাহনও ভাংচুর করা হয়।
পরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদরের ৪ নং ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য লিয়াতকত আলী বলেন, তার সঙ্গে নির্বাচনে দ্বন্দ্ব ছিল স্থানীয় ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান’ কুদরত উল্লাহর।
এ কারণে কুদরত একের পর এক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে তার উপর দায় চাপাচ্ছে এবং তাকে (লিয়াকত) মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছে।
কুদরত উল্লাহ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার উপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করছে লিয়াকত। লিয়াকত একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গত এক বছরে তার বিরুদ্ধে ৩/৪টি মামলা হয়েছে।