সার্ক সড়ক পরিবহন চুক্তিতে মন্ত্রিসভার সম্মতি

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে জোটের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2014, 11:39 AM
Updated : 17 Nov 2014, 11:39 AM

নেপালের কাঠমান্ডুতে আসন্ন অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলো এই চুক্তিতে সই করবে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘মোটর ভেইকেলস এগ্রিমেন্ট’ এর খসড়ায় এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, নেপালের কাঠমান্ডুতে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর অষ্টাদশ সার্ক সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এর আগে ২২ নভেম্বর শুরু হবে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। সম্মেলনে স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই চুক্তিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

“এ চুক্তিতে যাত্রী পরিবহন ও কার্গো পরিবহন কভার করবে। সব দেশ ও মন্ত্রণালয় এবং স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও সিদ্ধান্ত নিয়ে এই ড্রাফট চূড়ান্ত করা হয়েছে, তা আজ বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন সার্ক সদস্যভুক্ত সব দেশের মিনিস্টিরিয়াল মিটিংয়ে ফাইনাল করা হলেই তা স্বাক্ষরিত হবে।”

সচিব জানান, এ চুক্তিতে তিন ধরনের যানবাহনের কথা বলা হয়েছে। পণ্য ও মালামাল পরিবহনের জন্য ‘কার্গো ভেহিকল এবং যাত্রী বহনের জন্য ‘রেগুলার’ ও ‘নন রেগুলার প্যাসেঞ্জার ভেহিকল’।

“রেগুলার হচ্ছে নিয়মিত বাস সার্ভিস বা এ ধরনের যানবাহন। আর নন রেগুলার হচ্ছে পিকনিক, স্টাডি ট্যুর, সামাজিক অনুষ্ঠান বা এ ধরনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীদের বাহন। ব্যক্তিগত যানবাহনও এতে থাকবে।”

এক দেশের পণ্য বা যাত্রীবাহী গাড়ি অন্য দেশে যাওয়ার আগে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। সব দেশ একই ফরম ব্যবহার করবে। ওই ফরমেই যাবতীয় নিয়ম কানুন বলা থাকবে।

“যদি বিরোধ হয় তাহলে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাবে। আলোচনায় না হলে আর্বিট্রেশেনে মীমাংসা করা যাবে। কোনো দেশ চাইলে চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করতে পারবে। চুক্তি পর্যালোচনারও সুযোগ থাকবে।”

যারা এ ধরনের যানবাহন পরিচালনা করবে তাদের ‘মান্টিপল এট্রি ভিসা’ দেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে চুক্তিতে।

সড়ক পরিবহন ছাড়াও সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে দুটি চুক্তি হবে এবারের সার্ক সম্মেলনে। মন্ত্রিসভা গত সপ্তাহেই এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। 

ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নবায়নে সায়

ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য ‍চুক্তি নবায়নের প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড বিটুইউন দ্য রয়্যাল গভার্নমেন্ট অব ভুটান অ্যান্ড দা গর্ভমেন্ট অব দা পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’  শীর্ষক চুক্তি এবং এ সংক্রান্ত প্রটোকল নবায়নের প্রস্তাবে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত ২০০৯ সালে দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি হয়, এবার তা নবায়ন করা হচ্ছে।

“বাংলাদেশের সাথে ভুটানের ২৫ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের আমদানির পরিমানই বেশি।”

চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে বাণিজ্য বাড়াতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া প্রয়োজনে চুক্তি সংশোধনেরও বিধান রাখা হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে দুই দেশ বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করতে পারবে বলেও জানান সচিব।