ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তানজিনা ইসমাইল রোববার কনস্টেবল পুলক হালদারের (৩৮) বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
গেন্ডারিয়ার ঢালকানগরের এক গৃহবধূ ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী দুলাল মিত্র ও শরীফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একসঙ্গে ঘর-সংসার করার পর স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুলকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ওই নারী।
মামলায় বলা হয়, ২০১০ সালের ৩ জুন ওই নারীর স্বামী মো. কালাম একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর গেন্ডারিয়া থানায় গেলে কনস্টেবল পুলকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়্।
“এ সময় পুলক তাকে বলে, ‘তোমার স্বামী যে মামলায় আটক হয়েছে তাতে তার ১৪ বছরের সাজা হবে। সুতরাং তাকে ভুলে যাও’।
এরই এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ২৬ জুলাই ওই পুলিশ সদস্যের ঔরসে তার একটি মেয়ে হয় বলে ওই গৃহবধূ দাবি করেছেন।
এরপর তিনি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে পুলিশ কনস্টেবল পুলক তা অস্বীকার করে মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন বলেও ওই নারীর অভিযোগ।
পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে তিন বছর দুই মাস বয়সী ওই মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
মামলা দায়েরের পর পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেন বিচারক। গেন্ডারিয়া থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম গত ১১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা দেন, যাতে সন্তানটি পুলকের হতে পারে বলে অভিমত দেওয়া হয়।