পলাতক খোকন রাজাকারের ফাঁসির রায়

একাত্তরে ফরিদপুরের নগরকান্দায় হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে ওই এলাকার রাজাকার কমান্ডার জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।

সুলাইমান নিলয়ও কাজী শাহরিন হকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2014, 06:03 AM
Updated : 9 Dec 2021, 10:28 AM

১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের হয়ে কাজ করা খোকন স্বাধীনতার পর বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান। তিন বছর আগে নির্বাচনে জিতে নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র বনে যান ৬৬ বছর বয়সী এই যুদ্ধাপরাধী। 

যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বৃহস্পতিবার এই পলাতক যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করেন।

এ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

১০৯ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১১টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়েছে।

এর মধ্যে ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের দায়ে ফাঁসির রায় এসেছে। 

মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই যুদ্ধাপরাধীর সাজা কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ২, ৩, ৪ ও ১১ নম্বর অভিযোগে আটক, ধর্ষণ,  ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করা, মানসিক নির্যাতন ও নিপীড়ন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে পরামর্শ ও সহযোগিতার দায়ে আসামিকে মোট ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১ নম্বর অভিযোগ থেকে খোকনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

সর্বোচ্চ সাজার আদেশ হওয়ায় খোকনকে আর জেল খাটতে হবে না। তার গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের পর এই সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক।  

এই রায়ের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা যাবে। তবে সেই সুযোগ নিতে হলে খোকন রাজাকারকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। 

ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত আসা ১২টি রায়ের মধ্যে তিনটি মামলায় মোট চারজন পলাতক আসামির সর্বোচ্চ সাজা হলো। 

ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার এবং নবম রায়ে একাত্তরের দুই বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের ফাঁসির আদেশ আসে। পলাতক থাকায় তারা কেউ আপিলের সুযোগ পাননি।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরুর পর থেকেই পলাতক খোকন এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তবে সুইডেনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের তথ্য অনুযায়ী, সেখানেই বড় ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে বহাল তবিয়তে রয়েছেন খোকন। 

আব্দুস শুকুর খান

মোকলেসুর রহমান বাদল

 

‘প্রত্যাশিত’ রায়

পলাতক খোকনের পক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রের নিয়োগ দেওয়া আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “রায়ে সুবিচার হয়নি। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তার কোনোটিই সত্য নয়।”

মামলা চালাতে খোকনের পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাননি বলেও জানান শুকুর।

অন্যদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এ মামলার প্রসিকিউটর মোকলেসুর রহমান বাদল, “রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত যা বলেছে, জাহিদ হোসেন খোকন একাত্তর সালে একক ও সম্মিলিতভাবে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য অপরাধ সংঘটন করেছিলেন।”

রায়ের পর সাবেক পৌর মেয়র খোকনের নিজের এলাকা নগরকান্দা ও সালথায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ হয়।

ফরিদপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ বলেন, “এই রায়ের মধ্য দিয়ে ফরিদপুর কলঙ্কমুক্ত হলো । ফরিদপুরের চার কুলাঙ্গারের মধ্যে একজনে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। সরকারের কাছে দাবি অন্যদের রায়ও দ্রুত কার্যকর করা হোক ।”

যুদ্ধাপরাধী জাহিদ হোসেন খোকনের ফাঁসির রায়ে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চও আনন্দ মিছিল করেছে। মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদেরকে বলেন, এই রায় দেশের মানুষের প্রত্যাশিত ছিল।

 

রাজাকার কমান্ডার থেকে জনপ্রতিনিধি

ফরিদপুরের নগরকান্দার মোতালেব মিয়া ও জয়নব বেগমের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে জাহিদ হোসেন খোকন দ্বিতীয়। তার বড় ভাই জাফর হোসেনও একাত্তরে একজন রাজাকার কমান্ডার ছিলেন, যিনি চাঁদহাটের যুদ্ধে ধরা পড়ে জনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পিটুনিতে নিহত হন।     

এ মামলায় প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ওই এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী। জাহিদ হোসেন খোকন ও তার বড় ভাই জাফর সে সময় মোহাম্মদ আলীর পক্ষে কাজ করেন।

একাত্তর সালের ২১ এপ্রিল নগরকান্দায় পাকিস্তানি বাহিনী এলে খোকন ও তার ভাই জাফর তাদের অভ্যর্থনা জানায়। এরপর  জাফরের নেতৃত্বে একটি এবং মাওলানা আবুল কালামের নেতৃত্বে আরেকটি মুজাহিদ বাহিনী গঠন করা হয়।

এ দুই বাহিনী পরে নগরকান্দার হিন্দুদের এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও সমর্থকদের বাড়ি-ঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয় বলে আদালতকে জানান কাশেম।

স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী,মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় খোকন ছিলেন আনসার সদস্য।

ফরিদপুর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদীর ‘৭১ সালের দশ মাস’ এবং মুক্তিযোদ্ধা মো. সোলায়মান আলীর লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর ফরিদপুর’ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, আনসার বাহিনীর প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে নগরকান্দার রাজাকার বাহিনীকে সুসংগঠিত করে তোলেন খোকন ও তার ভাই জাফর।

আর এ কাজে তারা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের কাছ থেকেও সহযোগিতা পেতেন। পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে সে সময় খাড়াদিয়ায় নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলেন বাচ্চু, যা ‘খাড়াদিয়ার মিলিটারি’ নামে পরিচিতি পায়।

প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৯ মে চাঁদহাটে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বড় ধরনের যুদ্ধ হয়। সেই  যুদ্ধে জাফর নিহত হলে নগরকান্দা রাজাকার বাহিনীর প্রধান হন তার ভাই খোকন।

নগরকান্দা সদরের কোদালিয়া-শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. রফিকুজ্জামান অনু বলেন,“জাহিদ হোসেন খোকন বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যেই বলেছেন যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। এ নিয়ে তার মধ্যে এক ধরনের গর্ববোধও ছিল।”

স্বাধীনতার পর খোকন আত্মগোপনে যান এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর খোকন এলাকায় ফেরেন।

সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবু সাঈদ খানের লেখা মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস- তৃতীয় খণ্ডে বলা হয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে দালাল আইনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছিল।

২০১১ সালে পৌর মেয়র হিসাবে শপথ নেওয়ার পর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে জাহিদ হোসেন খোকন

২০১১ সালে পৌর মেয়র হিসাবে শপথ নেওয়ার পর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে জাহিদ হোসেন খোকন

 

মুক্তিযুদ্ধের আগে জামায়াতঘনিষ্ঠ খোকন বিএনপির রাজনীতিতে জড়ান জিয়াউর রহমানের আমলে। সর্বশেষ নগরকান্দা পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হন। সেই সূত্রে ২০১১ সালে নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

এরই মধ্যে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরু হলে মেয়র হিসাবে শপথ নেওয়ার পরপরই নিরুদ্দেশ হন জাহিদ হোসেন খোকন। ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরুর পর সরকার তাকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নগরকান্দায় ব্যাপক লুটপাট ও হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করেন খোকন ও তার ভাই জাফর, যা ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাক্ষীদের বক্তব্যেও উঠে এসেছে।

নগরকান্দা পৌর শহরে তার একটি তিন তলা বাড়ি ছাড়াও বিপুল পরিমাণ জমিজমা রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।

খোকনের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, মেজ ছেলে লেনিন ও ছোট ছেলে পলিন দেশে থাকলেও ওই বাড়িতে থাকেন না। বড় ছেলে খায়রুজ্জামান লিংকন সুইডেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।

খোকনের এক মেয়েও স্বামীর সঙ্গে স্টকহোমে থাকেন বলে সুইডেনপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক সৈয়দ আমিনুল এহসান জানান।    

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন,“জাহিদ হোসেন খোকন এখন সুইডেনেই আছেন। কয়েক দিন আগেও তাকে মেয়ের জামাই বদিউজ্জামান বদির সঙ্গে স্টকহোমে দেখা গেছে।” 

মামলার পূর্বাপর

২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে গত বছরের ২৮ মে পর্যন্ত জাহিদ হোসেন খোকনের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করে প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন রায়। এরপর ২৯ মে তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

গত বছর ১৮ জুলাই অভিযোগ আমলে নিয়ে বিএনপির এ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে আদালতের নির্দেশে খোকনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপরও তিনি হাজির না হওয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই আদালত মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলে। পলাতক খোকনের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আব্দুস শুকুর খানকে আইনজীবী নিয়োগ দেন বিচারক।

গতবছর ৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে খোকন রাজাকারের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

২১ নভেম্বর থেকে গত ২ এপ্রিল পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন দাসসহ ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিল না।

এরপর দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৭ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল।

 

দ্বাদশ রায়

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর এটি ছিল দ্বাদশ রায়।

এর আগের ১১টি রায়ের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, একাত্তরের দুই বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন, জামায়াত আমির একাত্তরের বদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী এবং জামায়াতের শুরা সদস্য মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

আর মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড, দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আদালত।

এর মধ্যে আপিলের রায়ে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হলে গত ১২ ডিসেম্বর তা কার্যকর করা হয়। সাঈদীর আপিলে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তবে কামারুজ্জামানের আপিলেও ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে।

যুদ্ধাপরাধের দণ্ড ভোগের মধ্যেই গত ৩০ অগাস্ট ৮৩ বছর বয়সে মারা যান আলীম। ১১ মাস কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন তিনি। আর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলার মধ্যেই গত ২৩ অক্টোবর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯২ বছর বয়সী জামায়াতগুরু গোলাম আযম।

 

[এই প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন মফিজুর রহমান শিপন, কামাল তালুকদার, আশিক হোসেন, আজিজ হাসান, মাহবুবা ডিনা ও মাহমুদ মুরাদ।]